ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ নান্দাইলে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের ৯ কিলোমিটারে রয়েছে ১২টি গতিরোধক। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। অনুমোদন না নিয়েই সড়ক ও জনপথের রাস্তায় গতিরোধক তৈরির কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারী ও রোগীরা। সড়কটি দেয়ানগঞ্জ থেকে মধুপুর পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার। শুরুতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে থাকলেও সড়কটি প্রায় দুই বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি ত্রিশাল, গফরগাঁও, হোসেনপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে কৃষি পণ্য উৎপাদন হওয়ায় ভারী যানবাহনের সংখ্যাও অনেক।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেওয়ানগঞ্জ থেকে মধুপুর পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়কে ১২টি গতিরোধক রয়েছে। এর মধ্যে মহেষকুড়া ঈদগাহ মাঠের সামনে একটি, হাটশিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি, হাটশিরা বাজারে দুটি, লোহিতপুর মসজিদের সামনে একটি, আলতাফের দোকানের সামনে একটি, বীরকামটখালী দক্ষিণ বাজারে দুটি, বীরকামটখালী উত্তর বাজারে দুটি, বীরকামটখালী জে বি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে একটি ও আব্দুল হেলিমের বাড়ির সামনে একটি গতিরোধক রয়েছে।
অটোরিকশাচালক সুজন মিয়া বলেন, ‘এ সড়কে গাড়ি চলাচলের খুব অসুবিধা হয়। একটু পর পর ব্রেক করতে হয়। অনেক সময় খেয়াল থাকে না। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীরা মারাত্মকভাবে ঝাঁকি খান। এতে গাড়ি ও যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে।’
নীলা আক্তার নামের এক যাত্রী জানান, ‘ছোট একটি মফস্বল এলাকার সড়ক। তার মধ্যে এত গতিরোধক নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। এতে আমাদের সময়ের অপচয় হয়। অনেক সময় গাড়ি ব্রেক না দিলে উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতিরোধকগুলো তুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল হোসেন জানান, ‘এ সড়কটি পূর্বে এলজিইডির অধীনে ছিল। প্রায় দুই বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতিরোধকগুলো আগের সময়েই করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সড়কটি প্রশস্ত করা হবে। সে সময় গতিরোধকগুলো থাকবে না।’