শীতলক্ষ্যায় অ্যামোনিয়া বাড়ায় নিজের বাসার পানিতে কিছুটা গন্ধ পান বলে, জানিয়েছেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান।
তিনি জানান, লাইনে ত্রুটি বা বাসাবাড়ির পানির ট্যাংকের কারণে ওয়াসার ৫-৮ শতাংশ পানি দূষিত হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রশ্নের জবাবে তিনি রাজধানীবাসীকে পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন । তবে, ডায়রিয়া প্রবণ ১০ এলাকার পানি পরীক্ষা করে জীবাণু মেলেনি বলেও দাবি করেন।
রমজান শুরুর আগেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে পানির সংকট। সঙ্গে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। নগরবাসীর অভিযোগ অনেক এলাকার দুর্গন্ধের কারণে ফুটিয়েও পান করা যাচ্ছে পানি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে ওয়াসার ৫ শতাংশের বেশি পানি দূষিত হয়। তবে, ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন তিনি।
পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু নেই, তাই ডায়রিয়ার প্রকোপের জন্য ওয়াসা দায়ী নয়, দাবি তাকসিম এ খানের। তার পরও সাবধানতা হিসেবে সে জায়গাগুলোতে ক্লোরিন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এক যুগ ধরে এই সংস্থার এমডির দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া তাকসিম বলেন, “ঢাকায় পানির টোটাল চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। তাই রমজানে কোথাও পানির সঙ্কট হবে না।
তাকসিম বলেন, ঢাকা শহরের সেবা খাতগুলো সূচকের দিক থেকে নিচের দিকে থাকলেও পানি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসা এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে উপরের দিকে আছে। দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ ভাগ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানি সংকট হয় তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে।
এ কারণে ঢাকা ওয়াসা দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে গতানুগতিকতার বাইরে এসে কর্মসূচি গ্রহণ করছে এবং নগরবাসীকে সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।