পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজ শরিফের নাম ঘোষণা করেছেন ইমরান খানের বিরোধীরা। আবার শেহবাজ শরিফও নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদে ভাষণ দিয়েছেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা শেরি রেহমান টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করেছেন, সংসদ চলছে। এদিন অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিলে পাকিস্তানের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৯৭ জন সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও নতুন স্পিকার নির্বাচিত করেছে ইমরান বিরোধী শিবির। পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) আয়াজ সাদিককে নতুন স্পিকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার খারিজ করে দিলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। কিন্তু বিরোধীরা স্পিকারের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেন।
মূলত, এদিন দেশটির ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্যরা সংসদ কক্ষ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর স্পিকারের চেয়ারে বসেন সাদিক। তিনি ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আয়োজন করেন। পরে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন বিরোধী সংসদ সদস্যরা। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা শেহবাজ শরিফ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। ইতোপূর্বে তিনি পাঞ্জাব প্রদেশে তিনবার মূখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া পিএমএল-এন এর সভাপতি।
এদিকে অনাস্থা ভোটের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইমরান আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আহ্বান জানান দেশবাসীকে। তার আহ্বানের প্রেক্ষিতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফুর রেহমান আলভি।
ভাষণে ইমরান খান বলেন, ডেপুটি স্পিকার আজ পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা জনতার দরজায় যাবো। দেশের জনগণই ঠিক করবেন, তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান।
এদিকে হারের আগমুহূর্তে অনাস্থা ভোট ঠেকানোকে বিজয় হিসেবে উদযাপন করছেন ইমরানের সমর্থকরা। ইমরানের সমর্থকরা এটিকে প্রধানমন্ত্রীর গুগলি হিসেবেও দেখছেন।