আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় সরকার গঠনের নামে দেশের রাজনীতির মাঠ গরমের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির একেক নেতা একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো জাতীয় সরকারের কথা বলে রাজনীতির মাঠ গরম করার ষড়যন্ত্র করছে, যা কখনো সফল হবে না। সংবিধানসম্মতভাবে যথাসময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ ও দেউলিয়া- দাবি করে তিনি বলেন, তাদের শীর্ষ নেতারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে আদালতের রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত, পলাতক ও দেশান্তরী। শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির দায় রাজনৈতিকভাবে বয়ে বেড়াচ্ছে দলটি। তাই তাদের নেতাকর্মীরা আজ হতাশ।
বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছে এবং আগামীতেও করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের প্রতিদিনের বক্তব্য-বিবৃতি রাজনীতির সকল ধরনের শিষ্টাচার ও শালীনতা লঙ্ঘন করে চলছে। তাদের বক্তব্য ও বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পরিপূর্ণ। যেন তেন প্রকারে বিএনপি আজ ক্ষমতা দখলে এতই উন্মত্ত যে তাদের বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন প্রকার মিল নেই। বিএনপি নেতাদের এ ধরনের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে সঙ্কট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ভোট ডাকাতি ও গণতন্ত্র হত্যার জনক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে কথিত হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি প্রহসনে পরিণত করেছিল। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার বিএনপি ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চিরদিনের মতো কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হাওয়া ভবনের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দখল করলেও প্রতিবারই জনরোষের কারণে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশের শাসনভার গ্রহণ এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।
সূত্র: বাসস