চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে ৫ মামলায় দেখানো হয়েছে। একটি মামলায় দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীতে তিনটি হত্যা মামলা ও নিজ উপজেলা রাউজানে দুটি মামলা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, নগরীর পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, চকবাজার থানার তিনটি হত্যা মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আজ সকালে ফজলে করিমকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
রাউজান থানা পুলিশ জানায়, রাউজান মুনিরীয়া যুব তাবলীগ কমিটির দলইনগর-নোয়াজিষপুর শাখার এবাদতখানা ও পাঠাগার ভেঙে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করার মামলায় চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালতে আজ এক নম্বর আসামি ফজলে করিমকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, তার ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে গত ২৩ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন মুনিরিয়া যুব তাবলীগ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন।
এর আগে, পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফজলে করিমকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট ভবনে আনা হয়। এ ভবন থেকে সরাসরি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফজলে করিমকে আদালতে হাজির করায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদালতে অনেক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতের প্রবেশমুখে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা নানা ধরণের ফেস্টুন নিয়ে আদালত ভবনে যান। সেখানে তারা এবিএম ফজলে করিমের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
উল্লেখ, অবৈধপথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গাজীরবাজার থেকে এবিএম ফজলে করিমকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।