নির্বাচন বিরোধী, গুপ্ত সন্ত্রাস ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী বিএনপি’র বিরুদ্ধে দেশের জনগণ অসহযোগ শুরু করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মাঠ থেকে পলাতক দল বিএনপি অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে। এবার জনগণ বিএনপি’র বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করবে।’ওবায়দুল কাদের আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। যে দল আন্দোলনের আসর থেকে পালিয়ে গেল, এখন সেই দল অসহযোগ করবে। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু হয়েছে। তার প্রমাণ বাংলাদেশের হাট বাজার দোকান পাটে যান দেখবেন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলতেন শেখ হাসিনা পালিয়ে যাচ্ছে, মন্ত্রীরা পালিয়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাচ্ছে, পালাবার কোনো অলি গলিও খুঁজে পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল পল্টনে ২৮ তারিখে কি যে দৌড় বিএনপি নেতাদের, এখানে গিয়ে পরে, ওখানে গিয়ে পরে। পলাতক দল এখন আবার অসহযোগ আন্দোলন ডাকে। যে দল আন্দোলনের আসন থেকে পালিয়ে গেল এখন সেই দল অসহযোগ করবে। তাদের কথা শুনলে দেশের মানুষ হাসে।
তিনি বলেন, বিএনপির ডাকে জনগণ আগেও সাড়া দেয়নি। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল। হরতাল-অবরোধে সবকিছু চলেছে। জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এবারও জনগণ বিএনপির এই ডাকে সাড়া দেবে না। বিএনপিকে মানুষ অসহযোগিতা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ট্যাক্স-বিল যাদের বাকি, ঋণ নিয়ে যারা পালিয়েছে তাদের তালিকা করে সব আদায় করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না। গুপ্ত হামলা বন্ধ না করলে জনগণ ধরে ধরে প্রতিহত করে গণশাস্তি দেবে। জনগণ নির্বাচন পন্ড করতে দেবে না।
রিমোট কন্ট্রোল নেতা দিয়ে রাজনীতি হয় না জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেমস নদীর ওপার থেকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। দেশে এসে মানুষকে মোকাবিলা করে জেলে যাওয়ার সাহস অর্জন করুক। রিমোট কন্ট্রোল নেতা দিয়ে রাজনীতি হয় না।
নির্বাচনে আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি বুধবার সাধারণ যাত্রীর মতো বিমানের টিকিট কেটে সিলেট গেছেন। সরকারি কোনো খরচ নেননি। তার সঙ্গে যারা গেছেন তারাও নিজ খরচে গেছেন। সার্কিট হাউজের ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। কোনো দলীয় পতাকা ব্যবহার করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.রোকেয়া সুলতানা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্য নির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও তারানা হালিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।