সংস্কৃতি চর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে মূল্যায়ন করার তাগিদ দেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং একটি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মূল অনুষ্ঠানটি জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
‘যেকোনো দেশ বা যেকোনো জাতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে গেলে সংস্কৃতির ওপরেই আঘাত করা হয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সেই জায়গায় আঘাত করেছিল পাকিস্তানি শাসকরা। ১৯৪৮ সালে সেই আঘাত আসে। তারা বলেছিল বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না, উর্দু ভাষায় কথা বলতে হবে। তারা নানাভাবে আমাদের মাতৃভাষার অধিকারটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চেয়েছিল।’
‘নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখলে ও বিকশিত করলে এর মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আজকের বিশ্ব প্রযুক্তির বিশ্ব। আমাদের সংস্কৃতি চর্চায় প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করে আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই।’
সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান। বলেন, ‘বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র, চারুকলা এবং সৃজনশীল প্রকাশনাসহ শিল্পের সব শাখার উৎকর্ষ সাধন ও চর্চার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই লক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি ভবন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ বা তাদের জন্য অনেক জায়গায় অ্যাকাডেমি নির্মাণ করে দিয়েছি।’
‘সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা তাদের উৎস পালন ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ পাচ্ছে’ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সংস্কৃতি চর্চা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তৃণমূল মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। সেগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।’