সৌদি আরবে বাস উল্টে নিহত ওমরাযাত্রীদের মধ্যে আটজনই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কে সোমবারের এই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
‘আল এখবারিয়া’ চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে হাজীদের বহনকারী একটি বাস ব্রিজের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ২২ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাসের বাকি যাত্রীরা আহত হয়েছেন। যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
খবর পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং দুর্ঘটনাস্থলে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হতাহতরা বিভিন্ন দেশের বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি। তাদের নাম পরিচয় জানানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ৩৫।
দুই দিন আগেই সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওমরাহ পালন শেষে মদিনা থেকে পৌনে পাঁচশ কিলোমিটার দূরে কর্মস্থলে ফেরার পথে তাদের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসাইনের (৪৫) বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে। দুর্ঘটনায় নিহত অন্যজনের নাম সাগর জোমাদ্দার। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে। সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশে মোজাম্মেল হোসাইনের রেস্টুরেন্টে কাজে যোগ দিতে দুই বছর আগে দেশ ছেড়েছিলেন সাগর। সম্পর্কে মোজাম্মেলের শ্যালক সাগর।