মন্তব্যের প্রতিবাদে জর্দানের সংসদ দেশটিতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে।
ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ গত রোববার ফ্রান্সের এক সম্মেলনে বলেন, ফিলিস্তিনি ইতিহাস বা সংস্কৃতি বলতে কিছুই নেই। মন্তব্যের পর নিন্দা ও সমালোচনার তোপে পড়েন অধিকৃত পশ্চিম তীর প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা এই অর্থমন্ত্রী।
জর্দানের পার্লামেন্টের ফিলিস্তিন কমিটিসহ সংসদ সদস্যদের বড় একটি অংশ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আহ্বান জানানোর পর গতকাল (বুধবার) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটি হয়। এতে সংসদ সদস্যরা কণ্ঠভোটে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পক্ষে রায় দেন। এরপর পার্লামেন্ট স্পিকার আহমেদ আল-সাফাদি ইহুদিবাদী ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে স্মোতরিচ বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ হচ্ছে বিগত শতাব্দির একটি আবিষ্কার। আরবরা একটি কাল্পনিক জনগোষ্ঠী আবিষ্কার করে তাদেরকে ইসরায়েলি ভূমিতে প্রতিস্থাপন করেছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ইহুদিবাদী আন্দোলন প্রতিহত করা।’
এটিকে ‘ঐতিহাসিক বাস্তবতা’ বলেও বর্ণনা করেন স্মোতরিচ।
ইসরায়েলি মন্ত্রী এমন সময় এ বক্তব্য দিলেন যখন ১৯৪৮ সালের আগে পৃথিবীতে ইসরায়েল নামক কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না এবং ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইল নামক একটি দখলদার রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
জর্দানের পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, তার বক্তব্যে ‘ইসরায়েলি ধৃষ্টতা’র বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জর্দানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হওয়া প্রস্তাবটি এখন উচ্চকক্ষে পাস হওয়ার পর রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ তাতে সই করলে এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে।