রুশ-মার্কিন ড্রোনের পালটাপালটি হামলা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে দেশ দুটির মধ্যে। শত্রু দেশ দুটি এ নিয়ে একে অন্যকে পালটাপালটি দোষারোপ করছে।
এরই মধ্যে কৃষ্ণ সাগরে নিজেদের ড্রোনের ওপর রুশ যুদ্ধবিমানের হামলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রকাশ করা হয় এই ভিডিও ফুটেজ। সেখানে দেখা যায়, ভাসমান ড্রোনটিকে লক্ষ্য করে উড়ে আসছে রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ বিমান। আর এর পরই ড্রোনটির নেটওয়ার্কে সমস্যা হতে দেখা যায় ভিডিওতে। কিছুক্ষণ পরই সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রাশিয়ার দাবি, ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের মার্কিন ড্রোনটি মিসাইল-বোমা ও বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। উড়োযানটির পাখার ব্যাপ্তি ৭২ ফুটের বেশি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ড্রোনটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষও তদন্তের জন্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানায় রাশিয়া। আর এ নিয়েই ক্ষিপ্ত ওয়াশিংটন।
এদিকে মার্কিন বাহিনী বলছে, সংঘাতের কারণেই কৃষ্ণ সাগরে পতিত হয়েছে ড্রোনটি। হামলার কারণে ড্রোনের নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হতেও দেখা যায় ভিডিও ফুটেজে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মাইলি বলেন, এই ড্রোনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ। কোনোভাবেই এটির ধ্বংসাবশেষ আমরা শত্রুর হাতে পড়তে দেব না। এটি সাগরের ৪ থেকে ৫ হাজার ফুট গভীরে পড়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার অভিযান জটিল। আর এটাও সত্যি ওই অঞ্চলে আমাদের জাহাজ নেই। যদিও বহু মিত্র রয়েছে সেখানে। তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
বুধবার এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। যুক্তরাষ্ট্রের আচরণকে উস্কানিমূলক বলে অভিযোগ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার অভিযোগ, কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোনের উপস্থিতি নিশ্চিত করে, মস্কোর বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত ওয়াশিংটন।