আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা মৃত তত্ত্বাবধায়ককে জীবিত করতে চায়, তাদেরই লজ্জা হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগের নয়।
আজ বৃষ্পতিবার সকালে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আগামীকাল ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আঞ্জুমানে মফিদুল এতিমখানায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক উপ-কমিটি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাতামাতি করে না, সেখানে বিএনপি নির্লজ্জের মতো এটা নিয়ে কথা বলে। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যবস্থা চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে, সেটা নিয়ে বিএনপি মাতামাতি করছে। তাদের লজ্জা থাকা উচিত।
কাদের বলেন, ইতিহাসের বেইমানদের মতো কিছু বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রের কারণে পরাজয়ের খেসারত দেন বঙ্গবন্ধু। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তারা এদেশের জন্ম চেতনাকে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, গুরুত্বও দিয়েছেন আগামীর ভবিষ্যৎ হিসেবে।
বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে।
ড. ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্ব নেতার চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে ভাবে না, তাকে নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের কোনো দুর্যোগে তিনি ভাবেননি। যিনি নিজেই আইন ভাঙেন। ৬০ বছর পর জোর করে এমডি পদে থেকে নিজেই আইন ভেঙেছেন। নিজের কর্মকান্ডেই তিনি অসম্মানিত হয়েছেন।
ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীও বক্তব্য রাখেন।