মধ্য সোমালিয়ায় আল শাবাব জঙ্গিদের দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে এক পরিবারের আট সদস্যসহ কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। বুধবারের এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৪০ জন। দেশটির একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারি বাহিনী এবং মিত্র গোষ্ঠী মিলিশিয়ারা গত বছর বিদ্রোহীদেরকে দীর্ঘদিন দখলে তাদের থাকা অঞ্চল থেকে বের করে দিতে শুরু করার পর মাহাস শহরে এ হামলাটি আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন আল শাবাবের একটি সিরিজের সর্বশেষ ঘটনা।
হিরশাবেল রাজ্যের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হাসান-কাফি মোহাম্মদ ইব্রাহিম রয়টার্সকে বলেন, ‘নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। তারা নারী ও শিশু।’
‘নয় সদস্যের একটি পরিবার থেকে মাত্র একটি শিশু বেঁচে গেছে। অন্যান্য পরিবারও তাদের অর্ধেক সদস্যকে হারিয়েছে। দুটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা অনেক বেসামরিক বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে’ যোগ করেন তিনি।
মহাস জেলা কমিশনার মুমিন মোহাম্মদ হালানে রাষ্ট্রীয় রেডিওকে বলেছেন, একটি বোমা তার বাড়ি লক্ষ্য করে এবং অন্যটি ফেডারেল আইন প্রণেতার বাড়িতে আঘাত হানে।
আল শাবাবের মিডিয়া অফিস একটি বিবৃতিতে দায় স্বীকার করে বলেছে যে এটি ‘ধর্মত্যাগী মিলিশিয়া এবং সৈন্যদের’ লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং মৃতের সংখ্যা ৮৭।’
আল শাবাব প্রায়ই হতাহতের পরিসংখ্যান স্থানীয় কর্মকর্তা এবং বাসিন্দাদের দেয়া সংখ্যার চেয়ে বেশি দাবি করে।
আল শাবাব ২০০৭ সাল থেকে সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালাচ্ছে। যে অঞ্চলে মহাস অবস্থিত সেই হিরান থেকে গত বছর সরকারি বাহিনী এবং ম্যাকাউইসলে নামে পরিচিত মিলিশিয়া মিত্র গোষ্ঠী তাদের বিতাড়িত করে।
সৈন্য এবং মিলিশিয়ারা তাদের আক্রমণের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের সৈন্যদের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদের সরকার বলছে যে অভিযানগুলো শত শত আল শাবাব যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং কয়েক ডজন বসতি পুনরুদ্ধার করেছে, যদিও অনেক যুদ্ধক্ষেত্রের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায় না।
আক্রমণাত্মক হওয়া সত্ত্বেও আল শাবাব সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ঘন ঘন হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাজধানী মোগাদিশুতে বেশ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা ও হোটেল।
আল শাবাবের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক সাহায্যের সরবরাহকেও সীমিত করেছে।