বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করা হয়নি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।
বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ডিবি প্রধান বলেন, বিভিন্ন আলামত পর্যবেক্ষণ করে তিনি (ফারদিন) আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফারদিন রাত ৯ টার পর বান্ধবী বুশরাকে নামিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। তার মানসিক অবস্থা এমন না হলে এভাবে ঘুরোঘুরি করতে পারে না। বুশরার সাথে তার হতাশার কথা হয়েছিল স্পেনে যাওয়া পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপের বিষয় নিয়ে। তিনি ছনপাড়া যায়নি। তিনি ব্রিজের মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলেন। রাত ২টা ৩৪ মিনিটে পানিতে একটা শব্দ পাওয়া যায়। তার সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘায়ের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই। সবকিছু মিলিয়ে এটা একটা আত্মহত্যা।
এদিকে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন- ডিবি এমন তথ্য জানানোর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা জানানো হয়। বুধবার বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নিহতের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের অর্ধগলিত মরদেহ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।