পদ্মা সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভুয়া অভিযোগ এনে বাংলাদেশের মানহানি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এজন্য অভিযোগকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু : উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এক দশকের মাইলফলক’ শীর্ষক উৎসব উদযাপনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু আমাদের নিজস্ব তহবিল ও সম্পদ দিয়ে নির্মিত হয়েছে। এখন এটি আত্মনির্ভরতা ও সমৃদ্ধির পথে একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করছে। যদিও ষড়যন্ত্রকারীরা পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন ১০ বছর পিছিয়ে দেয়। এতে বাংলাদেশের জিডিপির গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) বাধাগ্রস্ত না হলেও আর্থিকভাবে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়।
এ সময় গত এক দশকে শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার সময়োপযোগী এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করেছে, যা ১১ লাখ টন থেকে আজ ৪৪ লাখ টনে অর্থাৎ চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার ব্যবসাবান্ধব সরকার রফতানি আয় ৭ বা ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশিরা মহামারির সময় তাদের দেশে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠানোয় দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ড. মোমেন তার বক্তৃতায় সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার বন্যার্তদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর থেকে সরকার যে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন।