ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বে অন্যতম উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন নিশ্চিতকরণ ও বাংলাদেশের ওপর থেকে তাদের চাপ কমাতে পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করার প্রস্তাব দেন মোমেন।
রোববার রুয়ান্ডার কিগালিতে অনুষ্ঠিত একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাসকে এ প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমও উপস্থিত ছিলেন।
মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে মিয়ানমারে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে এবং ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করেছে। তাদেরও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ট্রাসকে জানিয়েছেন, মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কট ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বৈঠকে এলিজাবেথ ট্রাস রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য মনে করে, রোহিঙ্গা সংকটের সর্বোত্তম সমাধান হলো- তাদের স্বদেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা।
এ সময় মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্রিটিশ সরকারের উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাস রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আসিয়ান ও এর সহযোগী জি-৭ দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবে।
দুই নেতার বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের করবিহীন জিএসপি সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন।