ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর কেটে গেছে ৩০ বছর। এরমধ্যে দুই দল লঙ্কানদের মাটিতে মোটে তিনটি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল। যার সবগুলোতে সিরিজ জয়ী দলটির নাম ছিল অস্ট্রেলিয়া।
যার ফলে চতুর্থ ওয়ানডে অজিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছিলেন, ‘১৯৯২ সালের পর তাদের আমরা আর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারাতে পারিনি। এবার হারিয়ে সামনে এগুতে চাই।’
৩০ বছরের সেই সিরিজ জয়ের খরা কাটাতে সক্ষম হয়েছে দলটি। কলম্বোতে মঙ্গলবার চতুর্থ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে থ্রিলিং এক ম্যাচে শেষ বলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে শানাকার দল। চারিথ আসালাঙ্কার মেডেন শতকের পর ডেভিড ওয়ার্নারের লড়াইয়ের পরও লঙ্কান বোলারদের নৈপূন্যে ৪ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।
কলম্বোতে এদিন টসে জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পরে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। ধনঞ্জয়া ফেরেন ৬০ রান করে।
এরপর এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আসালাঙ্কার লড়াকু প্রথম ওয়ানডে শতকে ২৫৮ রানের পুঁজি পায় দলটি। আসালাঙ্কা ১০৬ বলে করেন ১১০ রান। অজি তিন পেসার শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
২৫৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একপাশে ওয়ার্নার লড়াই চালিয়ে গেলেও অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ৯৯ রান করে আউট হয়ে ফিরলে শেষদিকে কামিন্সের ৩৫ রানে ম্যাচে থাকে দলটি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান লাগতো অজিদের।
প্রথম ৫ বলে ১৪ রান তুলে অজিদের ম্যাচে রাখেন ম্যাথু কুহনেমান। তবে শেষ বলে ক্যাচ হয়ে ফিরলে শ্রীলঙ্কা জিতে ৪ রানে। লঙ্কানদের পক্ষে সব ৮ বোলারের ৭ জনই উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরা হোন শতক হাঁকানো আসালাঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৯ ওভারে ২৫৮ (আসালঙ্কা ১১০, ধনাঞ্জয়া ৬০, হাসারাঙ্গা ২১*, ভেল্লালাগে ১৯; মার্শ ২/২৯, কামিন্স ২/৩৭, কুনেম্যান ২/৫৬)।
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৫৪ (ওয়ার্নার ৯৯, কামিন্স ৩৫, হেড ২৭, মার্শ ২৬; ধনাঞ্জয়া ২/৩৯, ভ্যান্ডারসে ২/৪০)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শ্রীলঙ্কা ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: চারিথ আসালঙ্কা।