দেশের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া, সাপের কামড়, পানিতে ডুবে, ভূমিধসে এবং নানা আঘাতজনিত কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ১৫ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৭ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭৯ জন, তবে এই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন, বজ্রপাতে ১৩ জন আক্রান্ত হয়ে তাদের মধ্যে ১২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে, সর্প দংশনে ৪ জন আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, পানিতে ডুবা ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও বলা হয়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই প্রভাবে সিলেট সদরসহ সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি এবার আঁছড়ে পড়ছে দেশের মধ্যাঞ্চলীয় জেলাগুলোতেও। ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ছাড়াও টাঙ্গাইল ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড়ের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ১৫ থেকে ১৭ জুন বাংলাদেশের উজানে আসাম ও মেঘালয়ে তিনদিনের টানা বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে পাহাড় গড়িয়ে নামে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। এতে সিলেট শহরসহ বিভাগের প্রায় সব জেলা প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় সিলেটের প্রায় ৮০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশের বেশি এলাকা। বন্যাকবলিত প্রায় সব এলাকায় সুপেয় পানিসহ অন্যান্য খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দেয়।