সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ। একইসঙ্গে দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী।
এর আগে বিকালে ভিডিও বার্তায় স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক শামসুল হায়দার সিদ্দিকী হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন। বিএম কনটেইনার ডিপো স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
রোববার সন্ধ্যায় শামসুল হায়দার সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটিকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। এটা কি দুর্ঘটনা, নাকি প্রতিপক্ষ কোনও নাশকতা চালিয়েছে, সেটা তদন্ত করে দেখার জন্য সরকারের সব কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে, গুরুতর আহত বা অঙ্গহানির শিকার ব্যক্তিদের ছয় লাখ এবং কম আহতদের চার লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। মৃতদের মধ্যে কারও পরিবারে শিশু থাকলে সে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।’
ভিডিও বার্তায় শামসুল হায়দার বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা মৃত ও আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করবো আমরা। পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবো।’
তিনি বলেন, ‘ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও হতাহতদের জন্য আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যারা আহত হয়েছেন, আল্লাহর কাছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আহত ও মৃতদের পরিবারের পাশে আছি আমরা।’
শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।