পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও দন্ডাদেশপ্রাপ্ত খুনী রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সহায়তা কামনা করেছেন।
মোমেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ওসোফ এবং ওয়াশিংটন ডিসির এশিয়া, দি প্যাসিফিক, সেন্ট্রাল এশিয়া ও ননপ্রলিফারেশন বিষয়ক ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাবকমিটি, চেয়ারম্যান অব দি হাউস কংগ্রেসম্যান অ্যামি বেরার সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি জে ব্লিংকেনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ মন্ত্রীর মার্কিন সফরকালে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানের নিজ নিজ কার্যালয়ে এই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও ড. মোমেন র্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সহায়তা কামনা করে বলেন, ঢাকা আশা করছে যে- খুব শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
বৈঠকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেন।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সকল নাগরিক যেন তাদের জন্মভূমি রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে সে জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর সম্ভব্য সব ধরনের চাপ প্রয়োগের জন্য মোমেন মার্কিন আইন প্রণেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান। এ সময় মার্কিন আইনপ্রণেতারা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ ব্যাপারে তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ড. মোমেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ব্যাপারে ব্রিফ করেন। মার্কিন আইনপ্রণেতারা এর প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি কংগ্রেশনাল বাংলাদেশ ককাস পুনরুজ্জীবিত করতেও তাদের সহায়তা কামনা করেন।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণের গুরুত্বের ওপর এবং আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যে চমৎকার এই অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ সময় বৈঠকে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুল আলম হানিফ, এমপি এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম।
সূত্র – বাসস