নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অবাধ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় সাংবাদিকদের নিয়ে ভাবেন। তিনি বহুমাত্রিক নেতৃত্বের অধিকারী। তাঁর নেতৃত্বে দেশের পজিটিভ ইমেজ তৈরি হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘জুমবাংলা যুগপূর্তি সম্মাননা-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,
সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কিছু করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাব নিয়ে তাঁর বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে সেটি বাস্তবায়ন হবে।
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সাংবাদিকদের সাথে কিভাবে চলতে হবে তাঁর কাছ থেকে শিখেছি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম পদ্মা সেতুর বিষয়টি তুলে ধরেছে। ধাপে ধাপে বাস্থবতার রূপ দিয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে ১৩ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুমবাংলা.কম এর সম্পাদক হাসান মেজরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজে’র মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন এবং ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।
অনুষ্ঠানে ১৬ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ অবদানের জন্য জুমবাংলা যুগপূর্তি সম্মাননা ২০২২ প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন-মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর)- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, শিক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, কথাসাহিত্যে কথাসাহিত্িযক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, চিত্রশিল্পে-স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও কয়েনের নকশাকার কে. জি মুস্তফা, চিকিৎসায়-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সমাজসেবায়- খুলনা অঞ্চল সমাজসেবায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান অনির্বাণ লাইব্রেরি, সাংবাদিকতায়-যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসীনুল হাকিম, ফটোগ্রাফিতে- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার পাভেল রহমান, আবৃত্তিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম, কবিতায় কবি ও সাংবাদিক খান মুহাম্মদ রুমেল, ছড়াতে ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক পাশা মোস্তফা কামাল, গীতিকারে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী, সঙ্গীতে গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত গবেষক সাজেদ ফাতেমী, কৃষিতে- বরেন্দ্র ও রূপগ্রাম কৃষি খামারের উদ্যোক্তা সোহেল রানা, জনসচেতনায়- বস্ত্র প্রকৌশলী সাঈদ রিমন, নারী উদ্যোক্তায়-উই এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং আইটিতে- ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. মনির হোসেন। প্রতিমন্ত্রী গুণীদের মাঝে সম্মননা ক্রেস্ট ও সার্টটিফিকেট প্রদান করেন।
সূত্র – বাসস