23.8 C
Sydney

এক্সক্লুসিভউৎপাদন পর্যায়ে নায্যমূল্য নিশ্চিত করা বেশ চ্যালেঞ্জের, বাণিজ্যমন্ত্রী

উৎপাদন পর্যায়ে নায্যমূল্য নিশ্চিত করা বেশ চ্যালেঞ্জের, বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশের তারিখঃ

দূর গ্রামে উৎপাদিত পণ্যের দাম ঢাকায় এসে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, উৎপাদন পর্যায়ে নায্যমূল্য নিশ্চিত করা বেশ চ্যালেঞ্জের।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে রংপুরে ১০ টাকা দরে যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ঢাকায় সেটি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। একই অবস্থা অন্যান্য শাকসবজির ক্ষেত্রে। এ পরিস্থিতি দূর করতে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।

সোমবার দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রথম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বাজারে বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ, ভোজ্যতেলে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রভাব, উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য পার্থক্যর বিষয়সমূহ নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর মোট চাহিদার ৩০ শতাংশ টিসিবির হাতে রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সে বিষয়ে কিছু করার থাকে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সবসময় কাজ করছে । ভোজ্যতেলে সরবরাহ আদেশ (এসও) বাস্তবায়নের একটি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য না নিলে এসও বাতিল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নেওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পাইকারি পর্যায়ে ১৫৮ বা ১৫৯ টাকায় ভোজ্যতেল ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়েও দাম কমেছে। দেশে লাখ লাখ দোকানে ভোজ্যতেল বিক্রি হয়। দুয়েক জায়গায় ব্যতিক্রম থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ পর্যন্ত ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে ৭৫ হাজার টন ভোজ্যতেল দেশে আমদানি হয়েছে। এরপর ৭ বা ৮ দিনে আরও ১৫ হাজার টন তেল দেশে এসেছে।

বাজারে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। টাস্কফোর্সের সভায় এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতিও বিষয়টি তুলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এদিকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টাস্কফোর্স ১৬ দফা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সমুদ্র ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং শুল্ক স্টেশনগুলো থেকে দ্রুত পণ্য খালাস। নিত্যপণ্য পরিবহনে ফেরি পারাপারে অগ্রাধিকার এবং পরিবহনে জেলা পুলিশদের সহায়তা দিতে হবে।

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মজুতকারীর বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো। অবৈধভাবে পণ্য মজুত ও বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত সকল আইনে ব্যবস্থা নেওয়া; পাশাপাশি পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়েও কঠোর নজরদারি করার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে গত মাসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

সর্বশেষ

spot_img

জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

ডেইলি মার্ক নিউজে জনপ্রিয়

ভারত-বাংলাদেশের যৌথ অংশগ্রহণে ব্রেমেনে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন

মো. নাজিম উদ্দীন, ব্রেমেন প্রতিনিধি: বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভা...

উজবেকিস্তানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ...

প্রধানমন্ত্রী আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে : মোমেন

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী...

অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির কোগরার ফ্রাই রিজার্ভ ও মিন্টুতে আজকের ঈদুল ফিতরের...

ডেইলি মার্ক নিউজে সর্বশেষ
Latest

রোহিঙ্গা বিষয়ে আসিয়ানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সিঙ্গাপুরের প্রতি ঢাকার আহ্বান

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে টেকসই...

একনেকে ১,২২২.১৪ কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ মোট চারটি...

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র সমাবেশ শুরু

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত...

মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের

বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং...