প্রিন্স উপাধি ত্যাগ করছেন বলে বিবৃতি দিয়েছেন জর্ডানের সিংহাসনের সাবেক উত্তরাধিকারী প্রিন্স হামজাহ বিন হুসেন ।
রবিবার টুইটারের সেই বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত বিশ্বাস জর্ডানের প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিক পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
জর্ডানের প্রয়াত বাদশাহ হুসেনের চতুর্থ পুত্র হামজাহ বিন হুসেন। তিনি দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ ছোট ভাই। দেশটির নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা এবং হয়রানির অভিযোগ আনার পর গত বছর রাজপুত্র হামজাহকে গৃহবন্দি করা হয়। মার্চে হামজাহর সই করা একটি চিঠি প্রকাশ করে জর্ডান। এতে বলা হয় তিনি তার সৎ ভাই বাদশাহ আবদুল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
টুইটারে প্রকাশ করা বিবৃতিতে হামজাহ বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তারপরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস যা আমার বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলাম এবং যা জীবনে মেনে চলতে কঠোর চেষ্টা করেছি সেগুলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিক পদ্ধতি, প্রবণতা এবং মনোভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
হামজাহ আরও লেখেন, ‘আল্লাহ এবং বিবেকের কাছে সৎ থাকতে আমি প্রিন্স উপাধি ত্যাগ করা ছাড়া কোনও উপায় দেখছি না।’ যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন জর্ডানের প্রতি অনুগত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
প্রয়াত বাদশাহ হুসেন এবং তার প্রিয় স্ত্রী রানি নুরের সবচেয়ে বড় ছেলে প্রিন্স হামজাহ। তিনি যুক্তরাজ্যের হ্যারো স্কুল এবং এবং স্যান্ডহার্স্ট এর রয়্যাল মিলিটারি অ্যাকাডেমির স্নাতক। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতেও পড়াশুনা করেছেন। জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীতেও তার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
১৯৯৯ সালে প্রিন্স হামজাহকে যুবরাজ ঘোষণা করা হয়। বাদশাহ হুসেনের প্রিয় পুত্র ছিলেন তিনি। তবে বাদশাহ হুসেনের মৃত্যুর পর বেশি ছোট এবং অনভিজ্ঞ বিবেচনায় তাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী করা হয়নি। এর পরিবর্তে তার বড় সৎ ভাই আবদুল্লাহ সিংহাসনে বসেন। ২০০৪ সালে হামজার প্রিন্স উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়।