প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে আন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে, অতি দ্রুত একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথা বলছি। এটিই একমাত্র সব সংকট নিরসন করতে পারে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আজ রোববার সকালে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
নির্বাচন বিলম্ব হলে সংকট প্রকট হবে বলে মনে করেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘এটা আমরা বার বার বলেছি,পার্টির তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, যত দ্রুত সম্ভব নিরপেক্ষ নির্বাচন করা দরকার এবং একটা সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির দেশের দায়িত্ব নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা দরকার।’
তিনি বলেন,‘আমরা এর আগেও বলেছি, গণ-অভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য, বাংলাদেশের বিপ্লবকে সুসংহত করতে হলে,কোনো রকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। তার জন্য বেশি প্রয়োজন,অতি দ্রুত নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যুবদলের ভূমিকার প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে আজ শপথ নিয়েছি, আমাদের যে স্বাধীনতা সেটা যেকোন মূল্যে রক্ষা করবো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে গত ৫ আগস্ট দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তা সত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদল আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সফল পরিণতিতে তাদের ভূমিকা অক্ষুণœ থাকবে। যারা বাংলাদেশের ভালো চায় না,তাদের প্রতিহত করার জন্য যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
এর আগে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংগঠনটির সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন। তারা প্রয়াত নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন এবং তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনজাত করেন।
এ সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান রবকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।