বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়।
তিনি আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখানে শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ জাহীদুজ্জামান তানভীরের স্মরণে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘পতিতি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’র শাসনামলের শেষের ৩৬ দিন অর্থাৎ গত ‘জুলাই-আগস্ট’র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার সারা দেশে প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। যারা হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে,তারাই এখনো ক্ষমতায় রয়ে গেছেন।’
স্বৈরাচারের দোসরদের সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যাকারীদের বিচার ছাড়া রাষ্ট্রের কোনো সংস্কার সম্ভব নয়। তবে, রাষ্ট্রের সংস্কার সংক্রান্ত যে কোনো কাজ করার আগে আওয়ামী লীগের দোসররা-যারা এখনও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তাদেরকে অপসারণ করতে হবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ স্মরণ সভায় উল্লেখ করেন, বারবার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছিল এবং সবশেষে ছাত্র-জনতার জীবন কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। যাদের হাতে সাধারণ মানুষের রক্ত তাদের বিচার আগে করতে হবে। তা না হলে শহিদের আত্মা শান্তি পাবে না।
প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রভুত্বের স্বভাব বাদ দিয়ে ভারতকে আমাদের বন্ধু হিসেবে সর্বাগ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে।’
গোটা বিশ্ব শেখ হাসিনার একদলীয় ভোট বর্জন করলেও একমাত্র ভারত সাপোর্ট করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত। ভারতের কাছে নতজানু হয়ে থাকার দিন শেষ হয়ে আসছে। বাংলাদেশের মানুষ আর কখনওই নতজানু হয়ে থাকবে না।’
এ সময় অন্তর্র্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বানও জানান রিজভী।
স্মরণ সভায় স্থানীয় বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।