বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাসের ওপর ইসরায়েল যুদ্ধ অব্যাহত রাখার কারণে ‘উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন।’ কারণ সেখানে ২৩ জানুয়ারি থেকে কোনো মানবিক গোষ্ঠী সাহায্য পাঠাতে পারেনি।
গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক জরুরি অবস্থা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে সেখানে জাতিসংঘের প্রধান সাহায্য সংস্থাটি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে রীতিমত সংগ্রাম করছে। অন্যান্য সংস্থাগুলোও হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের কাছে সাহায্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ যখন জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় ওসিএইচএ থেকে তার সহকর্মী রমেশ রাজাসিংহাম ব্যাপক অনাহার ‘প্রায় অনিবার্য’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তখন স্কাউ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘যদি পরিস্থিতির কিছুই পরিবর্তন না হয় তবে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন’।যেহেতু ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং কেবলমাত্র অবশিষ্ট অঞ্চলে প্রবেশ করতে দিচ্ছে জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়ে সদস্যদেরকে যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসেবে ‘বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারে না রাখার জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
রাজাসিংহাম বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারির শেষে গাজায় কমপক্ষে ৫৭৬,০০০ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। উত্তর গাজার দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয় শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিজনিত কারণে তীব্র রোগে ভুগছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ডেপুটি মহাপরিচালক মৌরিজিও মার্টিনা সতর্ক করে বলেছেন, গাজার প্রায় ৯৭ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানি ‘মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুপযুক্ত’ এবং কৃষি উৎপাদনে ধস নামতে শুরু হচ্ছে।জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এক মুখপাত্র মঙ্গলবারও বলেছেন, সীমান্তে সাহায্য প্রস্তুত এবং প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।
স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডব্লিউএফপি সহকর্মীরাও আমাদের জানান, গাজা সীমান্তে তাদের ত্রাণবাহী গাড়ী প্রবেশের অপেক্ষা করছে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে তারা ২২ লক্ষ লোককে খাদ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।’তিনি বলেনে, ‘১৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য বহনকারী প্রায় ১ হাজার ট্রাক মিশরে অবস্থান করছে, শুধু প্রবেশের প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।