প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলকে আওয়ামী লীগের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাঁর দল দেশবাসীকে একটি উন্নত ও সুন্দর জীবন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ বুধবার দারিদ্র্য বিমোচনে স্বপ্নের আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে বাড়ি বিতরণের ঘোষণা দেয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে দেশবাসী স্বাধীনতা পেয়েছিল। নৌকায় ভোটের কারণে আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ ঘর পেয়েছে। তাই, আমি বলতে চাই আওয়ামী লীগের প্রতি সবাইকে বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে ।
প্রধানমন্ত্রীর তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠনে যোগ দিয়ে বলেন, জনগণ তাঁর দল আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনায় তাঁর সরকারের অধীনে দেশ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে এবং দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কারণ তাঁর দল ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে সমস্ত মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাঁর দল সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ভোট কারচুপির মাধ্যমে সংসদে এনেছিলেন। সামরিক একনায়ক জিয়া খুনিদের বিচার ঠেকাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তাদের বিদেশে পোস্টিং দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, কেউ যাতে আবার ভোট চুরি করতে পারবে না সেজন্য আমরা একটি ডিজিটাল ভোটার তালিকা তৈরি করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি বরং লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য গড়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, সেই কায়েমী গোষ্ঠী (বিএনপি-জামায়াত) এখনও ব্যক্তি-স্বার্থ হাসিলে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণকে বন্দী করার চেষ্টা করছে। যেটি তারা ২০১৩-১৪ সালে সেই সময়ের জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করার লক্ষ্যে শুরু করেছিল।
শেখ হাসিনা দেশবাসীকে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের একটি বিরোধী দল আছে যারা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষকে হত্যা করে, তাদের ব্যক্তি-স্বার্থ হাসিলের জন্য সন্ত্রাস ও অগ্নিসংযোগ করে