যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে এ টর্নেডো আঘাত হানে। বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসিসিপির বেশ কয়েকটি মফস্বল শহরে এ ঘূণিঝড় আঘাত হেনেছে। যেখানে গাছ এবং বিদ্যুতের পিলারগুলো উপড়ে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী এ ঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে।
মিসিসিপির বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক শিলা ও ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। শিলাগুলোর আকৃতি ছিল গলফ বলের সমান।
ঠিক কতগুলো টর্নেডো ওই এলাকায় আঘাত হেনেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও গতকাল জাতীয় আবহাওয়া সার্ভিস দূরবর্তী বেশ কয়েকটি টর্নেডোর পূর্বাভাস দিয়েছিল।
পশ্চিম মিসিসিপির একটি ছোট শহর রোলিং ফর্কের বাসিন্দারা বলেছেন, একটি টর্নেডো তাঁদের বাড়ির পেছনের জানালাগুলো উড়িয়ে দিয়েছে। এলাকায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্র্যান্ডি শোয়াহ সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমি কখনো এ রকম কিছু দেখিনি…এটা একটা ছোট ও সুন্দর শহর ছিল। এখন আর কিছুই নেই।’
কর্নেল নাইট নামে অপর এক বাসিন্দা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘স্ত্রী এবং তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে রোলিং ফর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। টর্নেডো আঘাত হানার ঠিক আগেও শহরটি বেশ শান্ত ছিল।’
টর্নেডো আঘাত হানার মুহূর্তের পরিস্থিতি বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘আকাশ একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। ওই সময় প্রতিটি ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটে। টর্নেডো আরেকটি আত্মীয়ের বাড়িতে আঘাত হানে, যেখানে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে।’
ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেটেরোলজি অধ্যাপক স্যাম এমারসন বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার টর্নেডো ছিল। যা ধ্বংসাবশেষ মাটি থেকে ৩০ হাজার ফুট ওপরে পর্যন্ত তুলছে।’
আমেরি শহরে একজন স্থানীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতা টর্নেডো আঘাত হানার পূর্বে শহরের বাসিন্দাদের জন্য প্রার্থনা করার জন্য টিভিতে বিরতি দিয়েছিলেন।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস টুইটারে বলেছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে। আপনারা আবহাওয়ার খবরে কান রাখুন এবং সতর্ক থাকুন।